(২০) প্রশ্নঃ কোন মহিলার সাথে যিনা করলে পরে ঔ মহিলার মেয়েকে বিয়ে করা জায়েয হবে কি ?
(২০) উত্তরঃ সূরা নিসার ২৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, তোমাদের জন্য হারাম (নিষিদ্ধ) করা হয়েছে তোমাদের মাতাগণ, কন্যাগণ, ভগিনীগণ, ফুফুগণ, ভ্রাতুষ্পুত্রীগণ, ভাগিনেয়ীগণ, দুগ্ধ-মাতাগণ, দুগ্ধ-ভগিনীগণ, শাশুড়িগণ ও তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সহবাস হয়েছে, তার পূর্ব স্বামীর ঔরসে তার গর্ভজাত কন্যাগণ, যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে আছে, তবে যদি তাদের (কন্যাদের মাতার) সাথে সহবাস না হয়ে থাকে, তাহলে তোমাদের (বিবাহে) কোন দোষ নেই। আর তোমাদের জন্য তোমাদের ঔরসজাত পুত্রের স্ত্রীকে (হারাম করা হয়েছে। হারাম করা হয়েছে দুই ভগিনীকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা গত হয়ে গেছে, তা (ধর্তব্য নয়)। নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সূরা নিসার ২৩ নং আয়াত।
কন্যা সমন্ধ্যে মুফাসসিরিনীরে কেরাম বলেন যে, কন্যা দ্বারা হয়তো (বিবাহিত) আপন স্ত্রীর কন্যাও হতে পারে অথবা যার সাথে যিনা করেছে, তার কন্যাও হতে পারে।
ব্যভিচার দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হবে কি না? এ ব্যাপারে উলামাদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। অধিকাংশ উলামাগণের উক্তি হল, কোন ব্যক্তি কোন মহিলার সাথে ব্যভিচার করে ফেললে, ব্যভিচারের কারণে হারাম সাব্যস্ত হবে না। অনুরূপ স্ত্রীর মা (শাশুড়ী) অথবা মেয়ের সাথে কেউ ব্যভিচার করে ফেললে, আপন স্ত্রী তার উপর হারাম হয়ে যাবে না। (প্রমাণের জন্য দ্রষ্টব্যঃ ফাতহুল ক্বাদীর) হানাফী ও অন্য কিছু উলামাদের মত হল, ব্যভিচারে হারাম সাব্যস্ত হয়ে যাবে। ফোকাহায়ে কেরাম তাদের (কানযুদ দাকায়েক, কুদুরি) কিতাবে লিখেন যে,
نكاح البنات يحرم الامهات ، وطي الامهات يحرم البنات
অর্থাৎ কন্যাকে বিবাহ করার দ্বারা মাতা হারাম, আর মাতার সাথে সহবাস করার দ্বারা কন্যা হারাম। তাই, বোঝা গেল, কোনো ব্যক্তি কোনো মহিলার সাথে যিনা করলে, সে (পুরুষ) ঐ মহিলার মেয়েকে বিবাহ করতে পারবে না।
No comments:
Post a Comment