(০১) উত্তর: এক ব্যক্তি নবী করীম সাঃ- এর নিকটে এসে জিজ্ঞাসা করল যে, কিয়ামুল লাইল (তারাবীর সালাত) কীভাবে পড়বো? তিনি বললেন এটা দুই রাকআত করে পড়া উচিত। যেমন- দুই রাকাআত, তারপর দুই রাকআত, তারপর দুই রাকআত এভাবে এবং যদি সূর্য উদিত হওয়ার সময় হয়ে যায় তবে এক রাকআত।” এভাবে যতখুশি তত পড়া যাবে। (সহীহ বুখারী সালাত, ৪৭২)
এ ব্যাপারে আমরা যদি সাহাবী, সালফে সালেহীন এবং তাবেয়ীনদের অনুশীলন দেখি তাহলে তারা ১১, ১৩, ১৯, ২৩, ৩৯ রাকাআত এ রকম আদায় করতেন। আরেকটি হাদীসে উল্লেখ আছে যে (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, পৃ.-১৬৫, ১৬৬) “তাবেয়ীনরা রামাদানের রাতে ২০ রাকাআত তারাবীহ আদায় করতেন। অন্যত্র বলা হয়েছে যে, তারা ৩৬ রাকাআত আদায় করতেন” কিন্তু নবী করীম (সাঃ)- ১১ রাকাআত আদায় করতেন। তবে তিনি ২+২+২+....... এভাবেও আদায় করতে বলেছেন।
সুতরাং তারাবীর নামাজ বা কিয়ামুল লাইল যতখুশি তত আদায় করা যবে। তারাবীর নামাজ বা কিয়ামুল লাইল এর রাকআত সংখ্যা নিয়ে দলাদলি করা, মসজিদ আলাদা করা, ঈদগাহ আলাদা করা, মুসলিম ঐক্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা সম্পূণ রুপে হারাম। (সূরা আলে ইমরান ১০৩ নং আয়াত দেখুন)
ইমাম ইবনু তাইমিয়া রহঃ বলেন, তারাবীর নামাজ বা কিয়ামুল লাইল এর কোনো নিদিষ্ট সংখ্যা নবী সাঃ হতে প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করাই মূলত ভূল। কেননা তিনি সত্যই রাকআতের এমন কোন সংখ্যা বিশ বা আট নিদিষ্ট করে যান নাই। বরং তাঁর ও সাহাবাদের হতে বিভিন্ন সংখ্যা বর্ণিত হয়েছে। (মেরকাত)
আমাদের উচিত তারাবীর রাকাঅাত সংখ্যার
প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে তারাবীর সালাতে কুরআন তিলাওয়াতের ও সময়ের প্রতি
গুরুত্ব দেয়া। রাসূল সাঃ রাতের ৪/৫/৬ ঘন্টা পর্যন্ত তারাবীর সালাতে কুরআন
তিলাওয়াত করতেন।
উত্তর দিয়েছেনঃ মুহাম্মাদ হামিদুল ইসলাম আজাদ
মোবাইলঃ ০১৭৪২৩৪৪১০৭
মোবাইলঃ ০১৭৪২৩৪৪১০৭
খুব সুন্দর লাগলো। লিখতে থাকেন।
ReplyDelete